ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ের কার্ডে রূপার মন্দির, সোনার দেবতা দিয়ে অতিথিদের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। বিয়ের অভিনব নিমন্ত্রণ কার্ডে এলাহিকাণ্ড দেখে অবাক বনে গেছেন নেটিজেনরা।
অনন্ত আম্বানি বিয়ে করতে চলেছেন রাধিকা মার্চেন্টকে। ছোটবেলা থেকেই তারা একে অন্যকে চেনেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একে অন্যের প্রতি দুর্বল হতে শুরু করেন। ভালোবাসার সম্পর্ককে বিয়েতে রূপ দিতে দুই পরিবারেরই সম্মতি ছিল। আগামী ১২ জুলাই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন নতুন এ জুটি।
তাই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে বিয়ের প্রথম নিমন্ত্রণপত্র দেবতা মহাদেবকে উৎসর্গ করেন মুকেশপত্নী নীতা আম্বানী। প্রথম সে বিয়ের কার্ডে লাল ও সোনালি রঙের প্রাধান্য ছিল। সনাতন ধর্মের আদর্শ জুটি শিব-পার্বতীর ছবিও ছিল।
দেবতা মহাদেবকে বিয়ের সে কার্ড উৎসর্গ করার পরই শুরু হয়ে গেছে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র বিলির পালা। এরইমধ্যে অনেককেই বিয়ের কার্ড বিলি করেছে আম্বানি পরিবার। আর এরপরই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয় বিয়ের কার্ডের সে ভিডিও। যে ভিডিও দেখে চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের।
কী আছে বিয়ের সেই কার্ডে? ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের কার্ড হিসেবে একটি ছোট আকারের লাল রঙের আলমারি উপহার দিয়েছে আম্বানি পরিবার। সে আলমারি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সাথেই একটি রূপার মন্দির দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর সে রূপার মন্দিরে চারপাশে আছে চারটি সোনার মূর্তি।
সঙ্গে আছে ৫ পৃষ্ঠার একটি অ্যালবাম বই। যেখানে এক পাশে দেবদেবীর ছবি ও অন্যপাশে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র লেখা আছে। গয়নার বাক্সের মতো একটি বড় বাক্সও ছিল সে আলমারিতে। যেখানে ‘ওম’ লেখা একটি মসলিনের রুমাল ছিল। সঙ্গে ছিল সোনা-রূপার দেবদেবীর মূর্তি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।